বড়লেখা উপজেলার পটভূমিঃ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী সিলেট বিভাগ। এই বিভাগেরই মেৌলভীবাজার জেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা হচ্ছে বড়লেখা।
ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায়, লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গদেশকে দ্বিখন্ডিত করে পূর্ব বঙ্গকে আসামের সঙ্গে যুক্ত করেন। সে ফলশ্রুতিতে শুরু হয় স্বদেশী আন্দোলন। ১৯১০ খ্রীস্টাব্দে ইংরেজ নরপতি সপ্তম এডোয়ার্ড মারা যাওয়ার পর বৃটিশ সিঙহাসনের উত্তরাধিকারী হন সম্রাট পঞ্চম জর্জ। ১৯১১ খ্রীস্টাব্দে পঞ্চম জর্জের ভারতবর্ষে আগমনের মধ্য দিয়ে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়। কিন্তু শ্রী বিলাস এর শ্রীভূমি শ্রীহট্ট থেকে যায় আসামের সঙ্গে। শ্রীহট্টে ছিল চারটি মহকুমা। সদর শ্রীহট্ট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও করিমগঞ্জ।
সদর মহকুমা আয়তনে বড় হওয়ায় ১৮৮২ খ্রীস্টাব্দে এটিকে বিভক্ত করে দক্ষিণ শ্রীহট্ট মহকুমার সৃষ্টি হয়। করিমগঞ্জ মহকুমায় ছিল ০৫টি থানা- করিমগঞ্জ, জলঢুপ, পাথারকান্দি, রাতাবাড়ি ো বদরপুর। ১৯৪০ খ্রীস্টাব্দের ১৮ মে তারিখে ৫৪৩৩ নঙ সরকারি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জলঢুপ থানাকে দ্বিধাবিভক্ত করার ফলে বড়লেখা-বিয়ানীবাজার থানার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের সুবাদে ১৯৮৩ খ্রীস্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বড়লেখাকে একটি স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস